হাজংদের ‘প্যাঁক খেলার’ মতো কক্সবাজার-পটুয়াখালির রাখাইনদের রয়েছে আরেক ঐতিহ্যবাহী পানি-খেলা উৎসব-- সাংগ্রেং। পার্বত্য চট্টগ্রামের মারমারাও পানি খেলার আয়োজন করেন, তারা একে বলেন-- সাংগ্রেই পোয়ে। সেটি অবশ্য বর্ষ বিদায় ও বর্ষ বরণের ভিন্ন এক উৎসব। আর বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলে বসবাসকারী গারো বা মান্দি জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে বীজ বপনের উৎসব ‘রঞ্চুগালা’ ও নবান্ন উৎসব ‘ওয়ানগালা’। আর চাকমাদের বর্ষ বরণ ও বর্ষ বিদায় উৎসবের নাম ‘বিঝু’। ত্রিপুরারা তাদের চৈত্র সংক্রান্তির উৎসবকে বলেন ‘বৈসুক’। সাঁওতাল আদিবাসীর রয়েছে নবান্ন উৎসব ‘সোহরাই বাহা’ ও বৃক্ষ বন্দনা ‘কারাম’ উৎসবের ঐতিহ্য। ... ...
অপরাজিত মুক্তিপ্রাপ্তির সময় চলে নি। পরবর্তীতে ভেনিসে গোল্ডেন লিও জেতার পর আবার একবার মুক্তি পায় যতদূর শোনা যায়, তাও চলে নি। ... ...
পৌষ সংক্রান্তির রীতি খণ্ডিত শ্রীহট্টীয় ভাবনায় বর্তমানের স্মৃতিচারণ ... ...
দুই প্রার্থীর ভিতরে কে ভাল কে মন্দ সেই বিচার আমি করতে বসব না। করার যোগ্যতাও আমার নাই। আমি শুধু দেখলাম দুই প্রার্থীর ভিতরে একজন হচ্ছে হিন্দু আরেকজন মুসলিম। মুসলিম প্রার্থী ভূমিধ্বস জয় পেয়েছে। এই জয়ের পিছনে তিনি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন ধর্মকে! আমার কথা বলার জায়গা এখানেই। শুধু এই বার না, গতবারও এই দুইজনই প্রার্থী ছিলেন। গতবার আমি নিজে মাইকে শুনেছি বক্তা সরাসরি বলছে উনি হিন্দু মানুষ, তারে ভোট দিবেন? আমি হাঁটছিলাম, মাইকে এমন শুনে থমকে দাঁড়িয়ে গেছিলাম। এমন কথা কেউ বলতে পারে? ... ...
বাঙালি কবিদের জনপ্রিয়তা ... ...
বাংলাদেশে আমার হিসাবে দুইটা শ্রমিক ইউনিয়ন খুব শক্তিশালী। এক মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন আরেক হচ্ছে গার্মেন্টস শ্রমিক ইউনিয়ন। এঁরা শক্ত করে দাবী আদায় করে বলে এঁদের নাম আমরা জানি। বাকিরা শ্রমিক না ধইঞ্চা তাও আমরা জানি না। আমার জীবনের খুব অল্প কিছুদিন স্পিনিং মিলে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি দেখছি এঁদের কোন সারা শব্দ পুরো দেশে কোথাও নেই। আওয়ামীলীগ সরকার যখন প্রথম দফায় গার্মেন্টসদের বেতন বৃদ্ধি করল সেই সময় আমি নারায়ণগঞ্জে একটা স্পিনিং মিলে চাকরি করি। আমি দেখলাম সেই বেতন বৃদ্ধি এঁদের জীবনে কোন প্রভাব ফেলল না। তখন সম্ভবত সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছিল ছয় হাজার টাকা। আমি আমার ফ্লোরে অদক্ষ শ্রমিককে বেতন নিতে দেখছি দুই হাজার টাকা, দেড় হাজার টাকা করে! এবং গার্মেন্টস যখন শিশু শ্রম থেকে মুক্ত হয়ে গেছে প্রায় তখন আমি দেখছি স্পিনিং মিলে দশ বারো বছরের শিশুদের দিয়ে কাজ করাচ্ছে, বেতন মাসে এক হাজার টাকা! শিশুদের রাতের শিফটে কাজ করানো আমার পক্ষে সম্ভব না, শুধু মাত্র এই কারণে আমি চাকরি ছেড়ে চলে আসছিলাম। আমি জানি না এখন স্পিনিং মিলের পরিবেশ ক্যামন। খুব একটা পরিবর্তন হয়ে গেছে বলে মনে হয় না আমার। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি কোনদিন কোথাও শুনি নাই স্পিনিং মিলের শ্রমিকেরা বেতন বৃদ্ধির জন্য আন্দোলনে নেমেছে। আর নামে নাই বলেই হয়ত আজও অন্ধ কুঠিরে সারাদিন কাজ করে বেতন পাচ্ছে তিন চার হাজার টাকা! কোনদিন এঁরা যদি রাস্তায় নামে আমি আশ্চর্য হব না। তবে আমি যেমন চা শ্রমিকদের কথা জেনে শিউরে উঠেছি, তেমনই তখনও অনেকেই আশ্চর্য হয়ে যাবে এঁদের জীবন কাহিনী শুনে। ... ...
কামিং আউট ব্যাপারটি কুইয়ার জনগোষ্ঠীর আন্দোলনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, কামিং আউট এবং এর পরিণাম যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সামাজিক স্তরে একেক রকমের সে বিষয়টি কতটুকু ভেবে দেখা হয়েছে? খোদ কুইয়ার সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই যখন আমরা এই বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য দেখতে পাই, সেখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কামিং আউটের যে অনেকরকম অর্থ দাঁড়াতে পারে সেগুলো ঠিক কী কী? বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক আবহাওয়ায় কামিং আউট করাই কি আমাদের আকাঙ্খিত লক্ষ্য? এই আর্টিকেলটিতে প্রাথমিক কতগুলো ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন লিঙ্গ ও যৌন, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থানের কুইয়ার জনগোষ্ঠীর মধ্য থেকে ফোনে এবং ইমেইলে মোট ২৩ জন ব্যক্তির ইন্টারভিউ নিয়ে কামিং আউটের রাজনৈতিক বাস্তবতায় তাদের চিন্তাভাবনা ঠিক কী সেটি বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন মানুষটির কাম আউট করা উচিত আর কার নয় এ বিষয়ে আমরা কোন পরামর্শ বা মতামত দেয়ার জায়গায় নেই; আমরা কেবল একটি বিষয়ই স্পষ্ট করতে চাই যে, কামিং আউট ফলস্বরূপ কুইয়ার কোন মানুষের প্রতি সামাজিক যে বিদ্বেষ, লাঞ্ছনা আর বৈষম্যের আবির্ভাব ঘটে, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবে নেই। ... ...
অশ্লীলতা কাকে বলে তা আজও জানি না ... ...
মানুষের সভ্য হওয়ার প্রথম নিদর্শন আগুন জ্বালাতে শেখা বা চাকার আবিষ্কার বলে অধিকাংশই মনে করে৷ কিন্তু আমার মতে মানুষের অন্যান্য প্রানীর থেকে আলাদা হওয়ার আসল কারণ তাদের কল্পনাপ্রবণতা৷ নিজের পারিপার্শ্বিক নিয়ে চিন্তা, বিভিন্ন গল্পকথা প্রভৃতি তৈরি৷ তাই সাঁওতাল থেকে ভিল হয়ে গোণ্ড পৃথিবীর সমস্ত আদিম আদিবাসীরই রয়েছে নিজস্ব উপকথার সম্ভার৷ রামায়ণ, মহাভারত পড়তে গিয়ে আকৃষ্ট হই এই উপকথাগুলোর উপর৷ জোগাড় করতে শুরু করি উপকথা। ভাবলাম সেই উপকথাগুলোই এক এক করে শেয়ার করি সবার সাথে৷ ... ...
বাংলার বাইরে এখন ... ...
অ্যারেস্ট করবেন না প্লিজ্ -- ধর্মতলার মোড়ে ডিম-ভাতে সেই স্বাদ নেই, আজ আর নেই। / কোথায় হারিয়ে গেল জ্বালাময়ী ভাষণের খেই, আজ আর নেই। / টিকটিক ব্যান তাই নায়িকা-টাইকা সব– নেই তার আজ কোনো খবরে, / ... ...
কিছুদিন আগে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। আশির দশকে বেশ কিছু ভালো স্মৃতি। সেই টানে, হচ্ছে শুনে, সংস্কৃতি-র অনুষ্ঠানে। দুজন ভালো গায়ক গায়িকা গাওয়ার কথা। গান শুনলাম। মন ভরলো না। ইউ টিউবে সিডিতে শোনার ভালো লাগা থাকলো না।কিন্তু যা দেখে একটু বিস্মিত। উদ্দাম নাচ।প্রচণ্ড গরম। জায়গাটা খোলা এটাই ভরসা।বাংলা লোকগান হোক আর রবীন্দ্রসঙ্গীত-- নাচ উদ্দাম।বিয়ারের বোতল দেখলাম ডেলিভারি দিচ্ছে।এক তরুণীর সঙ্গে বন্ধুদের মিষ্টি বচসা।'আমিই কিন্তু ফোনে অর্ডার দিয়েছিলাম। তাই আমি আগে'।ডেলিভারি বয়কে জিজ্ঞেস করে জানলাম, নরম উষ্ণ সব পানীয়ই আজকাল ফোন করে মেলে। হাজার হাজার তরুণ তরুণী।অনেকেই বসে শুনছিলেন।হাজার খানেক উদ্দাম নাচে। উন্মত্ত গরমে। আর এইসব কায়দার আলো।তার তাপও কম নয়।মঞ্চের একদম কাছে শত শত নৃত্যল ... ...
নতুন প্রজন্ম। রবীন্দ্রসদন চত্বর। ... ...
স্টোনওয়ালের একান্ন বছর পূর্তি নিয়ে এই লেখা। তথাকথিতভাবে সংস্কৃতি রক্ষা করার জন্য যখন মানুষকে হেনস্থা করার আইন তৈরী হয়, সেগুলো কীভাবে পুলিশি যথেচ্ছাচারের সুযোগ দেয়, এবং তা মানুষের পক্ষে কতখানি ক্ষতিকর হয় তার উদাহরণ আমরা দেখব। এবং মানুষ কীভাবে তার বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সেটাও দেখব। ... ...
ইটারসি থেকে দলটা একটু ছোট হয়েছে। ভাগ হয়েছে। প্রায় কুড়ি জনের একটা দল চলে গেছে দক্ষিণের দিকে। সুখনলালরা এখন আটজন। আটজন চলেছে নাগপুর স্টেশনের দিকে।দুই পায়ে দপদপে ব্যথা। দিনে নয়ঘন্টা হাঁটছে এখন ওরা। ভোর তিনটের সময় চলা শুরু। দিনে পঁয়তাল্লিশ কিলোমিটার হাঁটতেই হবে। বাড়ি যেতে হবে। বাড়ি। এক একেক দিন পেটে ব্যথা ওঠে। এত ব্যথা করে যে পেটে গামছা বেঁধে শুয়ে পড়ে। সুখনলালের একদিন খুব ব্যথা উঠেছিল। মনে হয়েছিল আর বাঁচবে না। ... ...
বাংলাদেশের কুইয়ার সম্প্রদায় দেশের অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোণঠাসা; নানা সামাজিক আর আইনী বাধাবিপত্তির মধ্যেই তাদেরকে জীবনধারণ করতে হয়। দেশে এমন কোন আইন বর্তমানে নেই যা এই সম্প্রদায়ের মানুষজনকে সামাজিক বিদ্বেষ-ঘৃণা আর নানা হয়রানির থেকে সুরক্ষা দেয়; উল্টো, যে আইনগুলো আছে সেগুলো এই সম্প্রদায়ের মানুষজনের সুরক্ষার শেষ সম্ভাবনাটুকুকেও নষ্ট করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কুইয়ার মানুষদের অনলাইন নিরাপত্তাহীনতার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলে। এমনিতেই তাদের ডিজিটাল জীবন অত্যন্ত গোপনীয় এবং সংকুচিত; এর মধ্যে থেকেই তারা এতদিন ধরে কুইয়ার অধিকারের যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, এই আইন তার পথকেও রুদ্ধ করে দেয়। ... ...
হঠাৎ একদিন সেই আলেয়া বু’কে লইয়া বাড়ির বড়রা রূদ্ধদ্বার বৈঠকে বসিলেন। হাত পাখার ডাঁটি দিয়া সে বেচারাকে খানিক মারধোর করা হইল। ভাতের সন্ধানে পাষানপুরিতে আসা ফর্সাপানা গাঁয়ের মেয়ে, আমাদের আলেয়া বু’ ফোঁপাইয়া কাঁদিয়াছিল মাত্র। প্রতিবাদ করে নাই। তাহাকে আমার বাবা ডাক্তার-চিকিৎসা করাইয়াছিলেন। তবে শিগগিরই তাহাকে ছাড়াইয়া দেওয়া হইয়াছিল। ... ...
কাজীদার পুরো নাম কাজী শামসুদ্দিন আনোয়ার হোসেন নবাব। যতদিন তিনি কলম চালু রেখেছিলেন ততদিন তিনি নবাবি করে গেছেন। সেই ষাট সাল থেকে শুরু, এর মধ্যে তিনি রাজ্য ছাড়েন নাই! আজকে নবাবের প্রস্থান হল। বিদায় নবাব। আজকে আর কিছুই বলার নাই আই লাভ ইউ ম্যান বলা ছাড়া! আই লাভ ইউ ম্যান, মানুষ হিসেবে নিজেকে আলাদা জায়গায় দাঁড় করাতে সাহায্য করার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ আপনার কাছে! রঙিন একটা শৈশব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ, ধূসর শৈশব নিয়ে বড় হওয়া অনেককে যখন দেখি তখন বারবার বলতে ইচ্ছা করে কাজীদা, আই লাভ ইউ ম্যান! ভাল থাকুন। ... ...
কৃষ্ণনগরের বীণা দাস যে পিস্তল দিয়ে গভর্নরকে গুলি করেছিলেন সেটি তাঁরই গোছানো ২৮০ টাকায় কেনা হয়েছিল। বীণাদেবীকে গোপনে লাইব্রেরিতে নিয়ে গিয়ে তিনিই নাকি শিখিয়েছিলেন কেমন করে পিস্তল চালাতে হয়। ... ...
ধীর লয়ের ছবির নির্মাণে আন্দ্রেই তারকোভস্কি, থিওঅ্যাঞ্জেলোপুলস, আব্বাস কিওরোস্তামি কিংবা বেলা টার --- এদের সবাইকে বোধহয় ছাপিয়ে গিয়েছেন ফিলিপাইন্সের পরিচালিক লাভ ডিয়াজ। এখানে তার কয়েকটি ছবি দর্শনের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ধরা থাকলো। ... ...